ত্রি মাসিক মাশওয়ারার ফয়সালাসমূহ সেপ্টেম্বর ২০২১
আলমী ফিকির:
পুরা আলমের তাকাজা পুরা করার জন্য সমস্ত সালওয়ালা ওলামা হাযরাত ও ৩ চিল্লার সাথীদেরকে বিদেশ সফরের জন্য তৈরি করা । এ জন্য প্রত্যেক জেলাতে এই ফিকিরের জন্য একটা অস্থায়ী জামাত থাকা, যাতে তারা সাথীদের তারগীব দিয়ে থানা, ইউনিয়ন, হালকা এবং মসজিদ থেকেও বিদেশের জন্য গুনগত মান সম্পন্ন মোকাম্মাল জামাত বানাতে পারে। এই ত্রি-মাসিক মাশোয়ারার যে সকল জামাত তৈরি হয়েছে এবং আযাইম করেছেন তা পুরা করে ২ মাসের মধ্যে কাকরাইলে পাঠানোর কোশেশ করা। আযাইম সামনে থাকলে মেহনত করা সহজ।৫ দিনের জোড়কে কামিয়াব করার জন্য কি করণীয়:
পুরাতনদের জোড়ের মাস ডিসেম্বর, ইহাকে সামনে রেখে মারুফ তরীকায় মেহনত করা। যেমন-ক. ৭/১০ দিনের জামাত বানিয়ে থানা ইউনিয়নে মেহনত করা ।
খ. জেলার প্রতিটি মসজিদে ৩ চিল্লার সাথী ও সাল /৩চি. / ১চি. ওলামা হাযরাতদের লিষ্ট বানিয়ে ঘর ঘর মেহনত করে নতুন পুরাতন সাথীকে আল্লাহর রাস্তায় বের করার চেষ্টা করা। এখানে যে আযায়েম দিয়েছেন তা পুরা করার জন্য জানতোর মেহনত করা।
গ. নিজ জেলায় মুনাছিব সাথীর দ্বারা পায়দল জামাত চালানো, ঢাকা হালকার সাথীরা হালকা ও জেলাতে সফর করা।
আমরা মাখলুক আমাদের মেহনতও মাখলুক, আমাদের দ্বারা কিছু হবে না করনেওয়ালী জাত একমাত্র আল্লাহতায়ালা। এজন্য আমরা মেহনতের সাথে সাথে দোয়ার এহতেমাম করে আজাইম পুরা করার চেষ্টা করি। যদি আমাদের মেহনত আল্লাহ পাকের পছন্দ মত হয় তাহলে আল্লাহ্তায়ালা হেদায়েতকে আম করে দিবেন।
নিজ জেলা পায়দল:
মুনাসিব সাথীদের দ্বারা জামাত বানিয়ে নিজ জেলায় পায়দল চালানোর এহতেমাম করা ।প্রতিবছর ৪ মাসের জন্য এক মজমা তৈয়ার করা:
এজন্য হার মজমাতে যেমন- শবগুজারীর ও বিভিন্ন বয়ানের মওকাতে এবং পুরাতন সাথীদেরকে ইনফিরাদীভাবে তাশকিল করা, লিষ্ট বানানো ও ইয়াদদেহানী করা। প্রতিবছর ৪ মাস লাগানোওয়ালা এক মজমা হলে হার তাকাজা পুরা হবে। এজন্য নিজের জাত থেকে তৈরি হওয়া।জেলার ওলামা হাযরতদের জোড়ঃ
ওলামায়ে কেরাম দ্বীনের কাজের আসল জিম্মাদার। তারা শুরু থেকেই এই জিম্মাদারী আদায় করে আসছেন। ওলামাদের মহব্বত ঈমানের আলামত। আমাদের কাজ চলবে ওলামাদের রাহবারীতে। তাদেরকে মহব্বতের সাথে জুড়ি, আমাদের কাজের কারগুজারী শুনাই এবং তারা যেহেতু অন্যান্য মেহনত ও জিম্মাদারীতে আছেন তাই উনাদের কাছে সময় নিয়ে জোড়ের তারিখ ও সময় ঠিক করি।![]() |
ত্রি মাসিক মাশওয়ারার ফয়সালাসমূহ সেপ্টেম্বর ২০২১ |
মসজিদওয়ার ৫ কাজ:
হযরতযী মাওলানা এনামুল হাসান সাহেব (রহ:) এর বাতানো তরতীব অনুসারে জেলার প্রতিটি মসজিদে ৫ কাজ চালু করা । হালকার মাসিক লম্বা মাশওয়ারার মাধ্যমে দুর্বল মসজিদে কাজ উঠানোর জন্য সবল মসজিদকে জিম্মাদারী দিয়ে কাম উঠানোর চেষ্টা করা।
মস্তুরাতের মেহনত:
মাস্তুরাতের মেহনত অতীব গুরত্বপূর্ণ। মাস্তুরাতের জেহেন বনলে পুরুষের দ্বীনের কাজের সহযোগিতা হয়। জেলার মাস্তুরাতের কামকে আনজাম দেয়ার জন্য ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী জামাত বানানো। প্রত্যেক সাথীকে আগে বাড়ানোর জন্য প্রতি ৩য় মাসে ৩ দিন, ৩ দিন ৩ বার হলে ১০/১৫ দিন, যারা ১০/১৫ দিন দিয়েছেন তাদের চিল্লার জন্য এবং যারা চিল্লা দিয়েছেন তাদের বিদেশ সফরের জন্য তৈরি করা। তাছাড়া ঘরের তালিম ও সাপ্তাহিক এস্তেমায়ী তালিমে জোড়ার জন্য এহতেমাম করা এবং সাথে সাথে কাকরাইলে ১০/১৫ দিনের নুসরতের জন্য পাঠানোর চেষ্টা করা।প্রতি ৬ মাস অন্তর জেলার কাম করনেওয়ালা পুরানো মাস্তুরাতের জোড় করা, প্রয়োজনে জোড়ের মোজাকারা ও চলতি জামাতে হেদায়েত ওয়াপসি শুনার জন্য জেলা থেকে জামাত কাকরাইল আসতে পারে।
তবকাওয়ার মেহনত:
জেলায় ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী জামাত বানিয়ে সকল তবকার উপর মেহনত করা জরুরীঃক. গোরাবাদের পিছনে মেহনত:
ইসলামের শুরুতে গোরাবা তরকা কাজে লেগেছেন এবং তাদের জীবন খুব সহজে পাল্টে যায়। এজন্য মজদুর, রিক্সাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা, শ্রমিক ইত্যাদি তবকার উপর জেলাতে জোড় করে মেহনত করা।খ. ছাত্র নওজোয়ান:
ছাত্র নওজোয়নদের এই কাজে জোড়ানোর জন্য উমমী গাস্তের মওকায় ছাত্র-নওজোয়ানদের উপর মেহনতের জন্য খুছুছী গ্বান্তের জামাত পাঠানো।
শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্রদের জোড় করে কাজের সাথে জুড়ানোর চেষ্টা করা ও শিক্ষাবর্ষের শেষেও জোড় করে তাশকিল করা যাতে বিভিন্ন ছুটির মওকায় আল্লাহ পাকের রাস্তায় সময় লাগায়।
তাছাড়া কখনও কখনও শবগুজারীর মওকায় ছাত্র-নওজোয়ানদের বয়ানের পরে একত্রিত করে মোজাকারা করা।
গ. এস. এস. ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের উপর মেহনত:
এখন থেকে এস. এস. সি. ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের লিষ্ট বানিয়ে তাদের সাথে মোলাকাত করা ও পরীক্ষার আগে কোন মওকায় তাদের দোয়ার জন্য একত্রিত করে তাশকিল করা যাতে করে অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও আল্লাহ পাকের রাস্তায় মোনাছের সাথী ও অভিভাবকসহ বের হতে পারে।ঘ. বধির ভাইদের উপর মেহনত:
বধির ভাইদের তরজমান বাড়ানোর ফিকির করা ও বধির ভাইদের তরজমান বাড়ানোর জন্য বধির ভাইদের জামাতে সময় লাগানো ও এ তবকার উপর মেহনত করে চিল্লা/৩চিল্লার জন্য তৈরি করে আল্লাহপাকের রাস্তায় বের করার চেষ্ট করা ।ঙ. খাওয়াছ তবকার উপর মেহনত:
জেলাতে ৬ মাসের অস্থায়ী জামাত বানিয়ে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারি চাকুরীজীবী, আইনজীবি, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি তবকার উপর মেহনতকে বাড়ানো।ঢাকার হালকার জামাত সংশ্লিষ্ট জেলায় পাঠানো:
ঢাকার হালকার মোনাছেব জামাত সংশ্লিষ্ট জেলায় পাঠানোর এহতেমাম করা, যাতে কিনা জেলার কাজ আগে বাড়ানো যায়।
২. শুরারী নজমের ৪ সপ্তাহের বারিতে কাকরাইলে বিভিন্ন নজমের জন্য মোনাছেব সাথী পাঠানোর চেষ্টা করা। প্রতি জেলা থেকে ৫ জন করে সাথী পাঠানো।
৩. জেলার কাম করনেওয়ালা সকল সাথীদের রোজানা, মাহানা ও সালানা খুরুজের তরতীব করা ।
৪. মসজিদওয়ার জামাত সহ শবগুজারীর এহতেমাম করা।
তাকাজা সমূহ:
১. ৭/১০ দিনের জামাত বানিয়ে থানা ইউনিয়নে পুরানো সাথীদের জোড়কে সামনে নিয়ে মেহনত করা ।২. শুরারী নজমের ৪ সপ্তাহের বারিতে কাকরাইলে বিভিন্ন নজমের জন্য মোনাছেব সাথী পাঠানোর চেষ্টা করা। প্রতি জেলা থেকে ৫ জন করে সাথী পাঠানো।
৩. জেলার কাম করনেওয়ালা সকল সাথীদের রোজানা, মাহানা ও সালানা খুরুজের তরতীব করা ।
৪. মসজিদওয়ার জামাত সহ শবগুজারীর এহতেমাম করা।
আরজ গুজার
হযরত মাওলানা মোহাম্মদ যুবায়ের
আহলে শুরা
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ
কাকরাইল, রমনা, ঢাকা ।