পুরানোদের জোড় (২৯ নভেম্বর- ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪) থেকে তাকাজাসমূহ

পুরানোদের জোড় (২৯ নভেম্বর- ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪) থেকে তাকাজাসমূহ
পুরানোদের জোড় (২৯ নভেম্বর- ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪) থেকে তাকাজাসমূহ
১. আগামী টঙ্গী ইজতেমা ৩১ জানুয়ারী, ১ ও ২ ফেব্রুয়ারী-২০২৫ ইং (শুক্র, শনি, রবি) অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

২. পুরানাদের জোড়ে জেলার সীমিত সংখ্যক সাথী এসেছেন। তাই জোড় থেকে ফিরে, পরের সপ্তাহে নিজ নিজ জেলার সকল কামকরনেওয়ালা সাথীদের নিয়ে বড়রা কাজ ও সিফাতের লাইনে যে মোজাকারা করেছেন এবং যে তাকাজাসমূহ পেশকরেছেন তা উযুদে আনার জন্য মেহনতের তরতীব করা।

৩. ক) ইজতেমা থেকে যে খুরুজের আজাইম দেওয়া হয়েছে, তা জেলার জোড়ে আরও মজবুত করে প্রতিটি কামকরনেওয়ালা সাথীদের সালানা, মাহানা, রোজানা খুরুজের তরতীব করা।

খ) আল্লাহ পাকের উপর ভরসা করে প্রতিটি সবল মসজিদ থেকে কমপক্ষে ১ টি তিন চিল্লার জামাত, ২ টি এক চিল্লার জামাত ও ১ টি বাহির মুলকের জামাত বের করার আজাইম বানানোর চেষ্টা করা। এর চাইতে কমজোড় মসজিদ থেকে ১/২ টি শুধুমাত্র চিল্লার জামাত এবং তার চেয়ে দূর্বল একাধিক মসজিদ মিলে হলেও ১ টি চিল্লার জামাত ময়দানে আনার চেষ্টা করা, যাতে কিনা ইজতেমা থেকে দেশের সকল ইউনিয়ন/ গ্রামে জামাত পৌছে যায় ।

৪ . প্রত্যেক কামকরনেওয়ালা সাথী রোজানা মাশওয়ারা, পাবন্দীর সাথে ২.৩০ ঘন্টা ও তালিম (মসজিদ ও ঘরে) এর এহতেমাম করে। তাছাড়া হালকার মাসিক লম্বা মাশওয়ারার মাধ্যমে দূর্বল মসজিদে কাম উঠানো এবং ২ জন পুরানো সাথী ২৭ দিন মেহনত করে ১০/১২ জন নতুন সাথীদের নিয়ে প্রতি মাসে ৩ দিন আল্লাহ পাকের রাস্তায় লাগানো বহুতি জরুরী ।

৫. সকল তবকা যথা খাওয়াছ, গোরাবা, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সরকারী চাকুরীজীবী, আইনজীবী, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি তবকার উপর মেহনতকে বাড়ানো যাতে করে পুরা উম্মতের মধ্যে দোবারা পাকিজা আমল দাওয়াত, তালিম, জিকির ও ইবাদত জিন্দা হয়।

৬. সরকারী-বেসরকারী কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মেহনতের সাথে সাথে প্রতিটি মসজিদের আওতায় যত ছাত্র-নওজোয়ান রয়েছে তাদের লিস্ট করে তাদের পিছনে মেহনত করা । শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ও পরীক্ষার ছুটির পূর্বে জোড় করা, উমুমী গাস্তের মওকায় ১/২ টি খুছুছি জামাত ছাত্রদের মধ্যে মেহনতের জন্য পাঠানো, ৩ দিনের জামাতে সাথে করে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। অনুরূপভাবে শিক্ষকদের পিছনেও মেহনতকে বাড়ানো ।

৭. কামকরনেওয়ালা সাথীরা এহতেমামের সাথে প্রতি দুই মাস পরে তৃতীয় মাসে নতুন জোড়াদের নিয়ে মাস্তুরাতসহ ৩ দিন আল্লাহ পাকের রাস্তায় সময় লাগানোর এহতেমাম করা। যে সমস্ত সাথীদের মাস্তুরাতসহ ৩ দিন তিনবার হয়েছে এমন সাথীদের ১০/১৫ দিন ও পরবর্তীতে যারা ১০/১৫ দিয়েছেন তাদের চিল্লার জন্য তৈরী করা। সাথে সাথে মোনাসেব ঘর তালাশ করে সাপ্তাহিক তালিমের পয়েন্ট বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করা।

৮. বধির ভাইদের উপর মেহনত বহুতি জরুরী, তাই জেলায় জেলায় তরজমান বাড়ানো ও বধির ভাইদের ৩ দিনের জামাত চালানোর চেষ্টা করা ।

৯. বাস, ট্রেন, লঞ্চ টার্মিনাল, বস্তি, হাট বাজার ইত্যাদি গাফলতের এলাকায় চিল্লার জামাত পাঠিয়ে মেহনত করে তাদের কম বেশী ওয়াক্তের জন্য আল্লাহ পাকের রাস্তায় বের করার কোশেশ করা, কমছেকম মসজিদের আমলে জুড়ানোর চেষ্টা করা ।

১০. মসজিদের ইমাম/খতিব সাহেব, মাদ্রাসার আসাতেজাকেরাম ও পীর মাশায়েখদের খেদমতে হাজিরী দিয়ে ইজতেমার কামিয়াবীর জন্য দোয়া চাওয়া ।

১১. হাযরাতে ওলামায়েকেরাম ও খাওয়াছদের নিজ নিজ মসজিদওয়ারী জামাতের মধ্যে একরামের সাথে ময়দানে রাখার চেষ্টা করা।

১২. যারা মাজুর অর্থাৎ চলাফেরায় অন্যের উপর নির্ভরশীল তাদেরকে নিজ এলাকায় দোয়ার এহতেমাম করার তরগীব দেওয়া।

মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসমস্ত ছাত্রদের বয়স কম, দাড়ি উঠে নাই তাদেরকে ময়দানে না আনা । ইজতেমায় আনেওয়ালা কোন সাথীদের বাচ্চা না আনাই উত্তম।

১৩. বিদেশী মেহমানদের থেকে ফায়দা নেয়ার জন্য ও তারা যে মাকসাদ নিয়ে আসতেছেন তা পুরা করার জন্য ভাষা জাননেওয়ালা ও বিদেশী জামাতের সাথে চলতে পারে এরূপ মোনাসেব সাথীদের তৈরি করে পাঠানোর এহতেমাম করা । কমছেকম ময়দানে নিয়ে এসে রিজার্ভ জামাতে জুড়ে দেওয়া ।

১৪. জেলা থেকে যেসমস্ত জামাতগুলো নগদ বের হওয়ার জন্য আসবে, তাদেরকে সরাসরি নিজ জেলার খিত্তার তাশকিলের কামরায় পৌঁছে দিবেন । তাশকিলের কামরা শুধু খুরুজের মজমার জন্য সংরক্ষিত রাখা ।

১৫. বাহির মুলকে যানেওয়ালা ৫ মাসের জামাত ও মাস্তুরাতসহ পুরুষ ভাইদের ২ মাসের জামাতসমূহ বিদেশী তাশকিলের কামরা ও মাস্তুরাতের কামরায় পৌছানোর চেষ্টা করা ।

১৬. খিত্তাওয়ালী, মসজিদওয়ালী, জুড়নেওয়ালী, পাহাড়া, তাশকিল ও বিভিন্ন খিমার জামাতগুলো আগামী ২৮ জানুয়ারী- ২০২৫ (মঙ্গলবার) ইং দিবাগত রাতের মধ্যে ময়দানে পৌছানোর ব্যবস্থা করা, যাতে কিনা ২৯ জানুয়ারী- ২০২৫ (বুধবার) ইং ফজর থেকে নজমের মোজাকারার আমলে জুড়তে পারেন ।

১৭. জেলার উমুমী জামাত, নগদ জামাত ও অন্যান্য সকল জামাতের সাথী ৩০ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) ২০২৫ ইং ময়দানে পৌছাবেন ।

১৮. জেলার ও হালকার জিম্মাদার সাথীগণ ৭/১০ দিনের জামাত বানিয়ে উপজেলা/থানা/ইউনিয়ন সফর করা এবং ইজতেমার কয়েকদিন পূর্বে নিজ মসজিদে বিছানা ফেলে উল্লেখ্য সকল তাকাজা পুরা করার জন্য জানতোড় মেহনত করা বহুতি জরুরী।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url