ত্রি-মাসিক মাশোওয়ারার ফায়সালা সমূহ মার্চ ২০২১
বিসমিহি তায়ালা
রমজানের খুরুজঃ
যে সব জেলাতে এস্তেদাত আছে ও আমানতদারীর সাথে সামলাতে পারেন তথা সকালে বয়ান শুনানো, দুইবার হেদায়েত শুনানো, ২৪ ঘন্টা আমলে মশগুল রাখা, জামাত বানানো, মুনাছিব জিম্মাদার দেওয়া ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে কাকরাইল থেকে পরামর্শ করে পরবর্তীতে কোন কোন জেলা নিজ জেলা থেকে বের হবে এবং কোন কোন জেলা কাকরাইল ও টঙ্গী আসবেন তা জানানো হবে।ফারেগীন ওলামায়ে কেরামদের সালে বের করার জন্য করনীয়ঃ-
ফারেগীন ওলামায়ে কেরামদের সালে বের করার জন্য এলাকার পুরানা জিম্মাদার সাথী ও পুরানা সাল লাগানোওয়ালা ওয়ালামায়ে কেরামদের উপর ও অভিভাবকদের উপর উসুলী গাশতের মাধ্যমে মেহনত করে বের করার কোশেষ করা।রমযানে বের হওয়া জামাতের নুসরতের তরতীবঃ
যে এলাকা থেকে জামাত বের হয়েছে ঐ এলাকার সাথীরা এবং যে এলাকায় জামাত কাজ করছে ঐ এলাকার সাথীরা জামাতের নুসরতের ফিকির করবে। কমপক্ষে ৩ দিন জামাতের সাথে থেকে নুসরত করা ।বিদেশে জামাত পাঠানোঃ
প্রত্যেক জেলার জিম্মাদার সাথীগন সিফতওয়ালা সাথীদের দিয়ে লম্বা খরচের ( কমপক্ষে দেড় লক্ষ টাকা ) জামাত বানিয়ে সোয়াদের জন্য পাঠানোর এহতেমাম করা।মসজিদ আবাদীর মেহনতঃ
মুসুল্লীদের নিয়ে মসজিদওয়ার জামাত বানিয়ে সকলকে মহল্লার সমস্ত কাজে জুড়ানোর ফিকির করা যাতে ধাপে ধাপে সবাই তালিমে, গাস্তে, মাশোয়ারাতে জুড়তে পারেন। দুর্বল মসজিদে কাজ উঠানোর জন্য সবল মসজিদকে জিম্মাদারী দেয়া । প্রত্যেক কাম করনেওয়ালা সাথী নিজ মসজিদে মোকামী কাজে এস্তেকামতের সাথে জোড়া। যতটুকু তার জিম্মায় তা পুরা করলে বাকীটা আল্লাহ্পাক পুরা করে দিবেন ইন্শা আল্লাহ্।মাস্তুরাতের মেহনতঃ
মাস্তুরাতের কাজ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মাস্তুরাতের জেহেন বনলে পুরুষদের দ্বীনের কাজের জন্য সহযোগীতা হয়। জেলার মাস্তুরাতের কাজকে আঞ্জাম দেয়ার জন্য অস্থায়ী ভাবে একটি জামাত (সর্বোচ্চ ৬ মাসের জন্য) বানানো । প্রত্যেক সাথীকে মাস্তুরাতের মেহনতে আগে বাড়ানোর জন্য প্রতি তৃতীয় মাসে ৩ দিন, ৩ দিন তিন বার হলে ১০/১৫ দিন, যারা ১০/১৫ দিন দিয়েছেন তাদের চিল্লার জন্য এবং যারা চিল্লা দিয়েছেন তাদের বিদেশ সফরের জন্য তৈরী করা। তাছাড়া ঘরের তালিম ও সাপ্তাহিক ইজতেমায়ী তালিমে জোড়ার জন্য এহতেমাম করা এবং সাথে সাথে কাকরাইলে ১০/১৫ দিনের নুসরতের জন্য পাঠানোর চেষ্টা করা। প্রতি ছয় মাস অন্তর জেলার কাম করেনওয়ালী পুরাতন মাস্তুরাতের জোড় করা, প্রয়োজনে জোড়ের মোজাকারা ও চলতি জামাতের হেদায়েত/ওয়াপছি শুনার জন্য জেলা থেকে এক জামাত কাকরাইলে আসতে পারে।তবকাওয়ারী মেহনতঃ
দ্বীনের কাজ চালানেওয়ালা খোদ আল্লাহ পাক। তাই সকল তবকার উপর আমাদের মেহনত করা জরুরী। বিশেষ করে গোরাবা তবকার উপর মেহনত করা । ইসলামের শুরুতে গোরাবা তবকাই কাজে লেগেছেন এবং তাদের জীবন খুব সহজেই পাল্টিয়ে যায়। আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম তাদের মহব্বত করতেন, এজন্য অসহায়দের উপর মেহনত করা। হুজুর সল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম দোয়া করেছেন “আয় আল্লাহ, আমাকে মিসকীন অবস্থায় জীবিত রাখেন, মিসকীন অবস্থায় মৃত্যু দান করেন এবং মিসকীনদের সাথে হাশর করেন।”নিজেদের আখেরাতের কামাই মনে করে ধনী, গরীব সব তবকার উপরই মেহনত করা, যেন প্রত্যেকের সম্পর্ক আল্লাহ্ তায়ালার সাথে হয়ে যায়। এজন্য মজুর, রিক্সাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা ইত্যাদি তবকার জোড় করা ।
বধির ভাইদের উপর মেহনত করাঃ
প্রত্যেক জেলায় এখন থেকে আমরা বধির ভাইদের উপর মেহনত করে তাদের সাথে মোনাছের সাথী জুড়িয়ে জামাত বানানোর জন্য আগামী ০২/০৪/২০২১ ইং (শুক্রবার) কাকরাইলে পাঠাবো।প্রতি বছর ৪ মাসের জন্য এক মজমা তৈরি করাঃ
প্রতি বছর ৪ মাস লাগানোর উপর জোরদার তারগীব দেওয়া, যারা তৈরি হন তাদের তরতীব করা যে কখন ৪ মাস দিবেন, কিভাবে দিবেন, একত্রে না ভেঙ্গে ভেঙ্গে ইত্যাদি। জিম্মাদার সাথীরা সবাই বছরে ৪ মাসের জন্য তৈরি হলে ছাত্র/তোলাবা সব জামাতের তাকাজা পুরা হবে। এর জন্য ৩ মাসিক মাশোয়ারা শিরকত করনেওয়ালা সাথীরা নিজেরা তৈরি হয়ে, এলাকায় যেয়ে বাকী পুরানা সাথীদের তৈরি করা এবং প্রতিটি জেলায় বছরে ৪ মাসের জন্য কতজন সাথী তৈরি হলো তা আগামী ত্রি-মাসিক মাশোওয়ারায় কারগুজারি শুনানো।শবগুজারীর এতহামামঃ
শহরের কাম করনেওয়ালা সাথীরা নিজ মসজিদওয়ার জামাতের নূতন-পুরাতন সাথীদের নিয়ে খানা ও বিছানাসহ আছর থেকে এশরাক পর্যন্ত শবগুজারীর এহতেমাম করা বহুতি জরুরী।জেলার মাশোওয়ারা তাহসীন করাঃ
মাশোওয়ারা যত মজবুত হবে সাথীদের জান-মাল তত বেশি দ্বীনের কাজে সহীহভাবে এস্তেমাল হবে।তাকাজা সমূহঃ
১. শুরাই নেজামের ৪ সপ্তাহের বারীতে কাকরাইলের বিভিন্ন নজমের জন্য মোনসের সাথী পাঠানোর এহতেমাম করা।২. খাওয়াছ, ছাত্র-শিক্ষক, মাস্তুরাত ইত্যাদি মেহনতের জন্য অস্থায়ী দেখভালের জামাত বানায়ে কাকরাইলে পাঠানো ।
৩. জেলার কাম করনেওয়ালা সকল সাথীদের রোজানা, মাহানা ও সালানা খুরুজের তরতীব করা।
৪. আগামী ত্রি-মাসিক মাশোওয়ারার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।
৫. নিজ মহল্লার জামাতের সাথে ৩ দিনের অতিরিক্ত ৩ দিন জেলার জিম্মাদার সাথীরা জামাত বানায়ে থানা ইউনিয়নে সফর করা।
৩. জেলার কাম করনেওয়ালা সকল সাথীদের রোজানা, মাহানা ও সালানা খুরুজের তরতীব করা।
৪. আগামী ত্রি-মাসিক মাশোওয়ারার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।
৫. নিজ মহল্লার জামাতের সাথে ৩ দিনের অতিরিক্ত ৩ দিন জেলার জিম্মাদার সাথীরা জামাত বানায়ে থানা ইউনিয়নে সফর করা।