ত্রিমাসিক মাশোয়ারার ফায়সালা সমূহ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ত্রিমাসিক মাশোয়ারার ফায়সালা সমূহ ফেব্রুয়ারি ২০২২
ত্রিমাসিক মাশোয়ারার ফায়সালা সমূহ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মাদ্রাসার মেহনত ও উসুলের জন্য করণীয়ঃ

মাদ্রাসার সাথে আমাদের সম্পর্ক ইমতিহান এর সময় নয় বরং সারা বছরের জন্য। এজন্য আসাতেজায়ে কেরামদের সাথে তায়াল্লুক রেখে বছরের শুরু থেকে মেহনত কে জারি রাখা উসুল হওয়া বহুৎ জরুরী, উসুলের জন্য সবাই মিলে ফিকির করে মুহতামিম ছাহেব, নাজেমে তালিমাত, নাজেমে দারুল একামা ও প্রয়োজনে অভিবাবকদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ছাত্রদের খরচাদি উসুল করে আল্লাহর রাস্তায় বের করার চেষ্টা করা।

ফারেগীন ওলামায়েকেরামদের সালে বের করার জন্য বিশেষভাবে মেহনতঃ

সালের জন্য যারা বের হবেন তাদের নিয়ত করানো ও হিম্মত আফযায়ী করা। শুরুতেই এক বছরের খরচ নিয়ে বের হওয়া জরুরী নয়, চিল্লার খরচ নিয়ে হলেও সাল শুরু করা।

রমজানের মেহনতঃ

বড়রা রমজান, সাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ্জ এই ৪ মাসে বেশি থাকে বেশি আল্লাহ পাকের রাস্তায় বের হওয়াকে অনেক গুরুত্ব দিতেন। কেননা, এই ৪ মাসে ইসলামের সব রোকনগুলো জিন্দা হয়। এজন্য আমরা ইজতেমাকে সামনে রেখে যেভাবে মেহনত করি তেমনি রমজানকে সামনে রেখে মেহনত করি এবং দোয়ারও এহতেমাম করি যাতে করে রমজানের খুরুজের পূর্বের ন্যায় জারি থাকে।

রমজানের খুরুজের স্থানঃ

কাকরাইলের সাথে তায়াল্লুক রাখা। হযরত ওমর (রা:) বড় বড় সাহাবীদের মদিনা শরীফে রাখতেন, যাতে সবার সম্পর্ক মদিনা শরিফের সাথে থাকে। বড়রা যেখানে মেহনত ও কুরবানী করেছেন সেখানে থেকে খুরুজকে আসল মনে করা. কম খরচের জামাত গুলোকেও কাকরাইল মার্কাজের দিকে পায়দল পাঠানোর জন্য বড়রা তাগিদ দিয়েছেন। আল্লাহপাকের রাস্তায় বেশি থেকে বেশি খরচের জন্য তৈরি করা ও কোরবানির উপর উঠানো। হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রহঃ) বলতেন আল্লাহর রাস্তায় ঠোকর খাও যেন আল্লাহপাকের রহমত জোশে চলে আসে। এজন্য জানমালের কোরবানি হলেও রমজানের সমস্ত খুরুজ কাকরাইল থেকে হবে।

কামকরনে ওয়ালা সাথীদের সালানা খুরুজের তারতীবঃ

প্রত্যেক কামকরনে ওয়ালা সাথীদের সালানা খুরুজের তরতীব অজুদে আসার জন্য মেহনত আসল। এজন্য পরবর্তী ২৪ ঘন্টার জোরে জেলার সকল জিম্মাদার সাথীদের একত্রিত করে ব্যক্তিগত সালানা খুরুজের আযাইম নেয়া ও তশকিল করা এবং দুই দুই জনের জুড়ি বানিয়ে জামাত পুরা করার জিম্মাদারী দেয়া ও খুরুজের নির্দিষ্ট সময়ে জামাতকে উসুল করা। এর দ্বারা কাজ দ্রুত অগ্রসর হবে ইনশাআল্লাহ।

নিজ জেলার পায়দল জামাতের তাহসিনঃ

নিজ জেলার পায়দল জামাত সহী রোখের উপর উঠানোর জন্য সাবেক নিয়মের পাবন্দি করা তা হলোঃ

-জামাতে নতুন সাথী না থাকা

-অধিকাংশ সাথী ৩ চিল্লা ওয়ালা হওয়া যাতে তারা নিজ জেলাতে কাজ উঠাতে পারেন।

-জামাতের রোখ বানজার এলাকায় হবে।

প্রথম বছর খুরুজ নিজ জেলায় হলে দ্বিতীয় বছর খুরুজ কাকরাইলের মাতাহাতে অন্য জেলায় হবে সাথীদের জেহেন বানিয়ে আনা যে রোখ কাকরাইলের মাশওয়ারা অনুযায়ী হবে।

প্রত্যেক তিন চিল্লার সাথী কিভাবে বছরের তিন চিল্লা দিতে পারে:

আমরা প্রত্যেকেই নিজেকে সালানা তিন চিল্লার উপর উঠাইও অন্যকেও তৈরি করি। এজন্য প্রত্যেক গাস্তের বয়ানে ও বিভিন্ন বয়ানের মওকায় প্রথমেই তিন চিল্লা ও বিদেশের জন্য তাশকিল করা, মসজিদওয়ার তিন চিল্লার জামাত বের করার রেওয়াজ দেয়া। জেলাতে বা ঢাকা শহরে যারা বছরে তিন চিল্লা দিছেন তাদের নাম-ঠিকানা তালিকাবদ্ধ করে সালানা তিন চিল্লার খুরুজ নিশ্চিন্ত করা

বড়দের জেলার সফর ও জেলাকে কাকরাইল ঢাকাঃ

জেলার চব্বিশ ঘন্টার জোড়ে পরামর্শ করে আজাইম সহ কাকরাইলে তাকাজা দেয়া কারা বড়দের সফর চান আর কারা কাকরাইলে আসবেন।

চলতি শবওজারির তাহসিনঃ

শবওজারির পয়েন্ট কোন মারকাজ নয় শবওজারির মসজিদকে শুধু আছর থেকে পরবর্তীদিন এশরাক পর্যন্ত জন্য ব্যবহার করা। কোন এন্তেজাম এর কাজের মধ্যে শরিফ না হওয়া। মুকিমিন না রাখা, এস্তেমায়ী খানাপিনা এন্তেজাম না করা। আপাতত যে কয়েক জায়গায় শবগুজারি চালু আছে তা মজবুত করি এবং ছয় মাস এক বৎসর দেখার পর নতুন করে শবওজারি চালুর ব্যাপারে চিন্তা করা হবে।

দুর্বল জেলাসমূহকে সবল করার প্রচেষ্টাঃ

প্রাথমিক অবস্থায় ৬ টি জেলায় (মেহেরপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও খাগড়াছড়ি) ঢাকা শহরের মজবুত হালকা (টেক লাগানো ছাড়া) ও বিভিন্ন জেলার মজবুত জামাত সারা বছর চিঠি সহ কাকরাইলে পাঠানোর এহতেমাম করা কাকরাইল থেকে হেদায়েত শুনে জামাত গুলো রোখে যাবে।

মাস্তুরাতের সাপ্তাহিক তালিমের কাওয়ায়েফের তাহসিনঃ

মাস্তুরাতের সাপ্তাহিক তালিমের পয়েন্ট চালু করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মসজিদের মসজিদওয়ার জামাত কতটুকু মজবুত তা সুষ্ঠু হওয়ার জন্য, তিন চিল্লার সংখ্যা কত ও তার মধ্যে কতজন মাশওয়ারায় জুড়েন তা উল্লেখ করা।

প্রত্যেক জেলা হতে কাকরাইলের নজমে সাথী পাঠানোঃ

দাওয়াতের মেহনতকে কামাই মনে করা. আখেরাতের মানুষ এক নেকির কারণে দোজখ থেকে বেঁচে জান্নাতে চলে যাবে। অন্যকে নেকির কাজে লাগানোও নেকি কামাইয়ের জরিয়া। এজন্য প্রত্যেক জেলা থেকে পাঁচজন মোনসেব সাথী কাকরাইলে পাঠাই।

* গত ২৮, ২৯ ও ৩০ ই জানুয়ারি ২২ যে সমস্ত জামাত আল্লাহ পাকের রাস্তায় বের হয়েছে সে জামাত গুলো ওয়াক্ত পুরা করে কাকরাইল মসজিদে ফিরবে।

* কাকরাইল মাদ্রাসার নতুন ছাত্রদের ভর্তির তারিখ আগামী ১০শ শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরী অভিভাবকগণ ছাত্রদের নিয়ে উক্ত তারিখে টঙ্গীতে আসবেন।

*আগামী ত্রিমাসিক মাশোয়ারা ২৭ ও ২৮ মে ২০২২ অনুষ্ঠিত হবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url