পুরানোদের জোড় থেকে তাকাজাসমূহ ডিসেম্বর ২০২১
১. পুরানোদের জোড় থেকে এলাকায় ফিরে বড়দের বাতানো তরতীব অনুসারে মেহনত করে, নগদ জামাত উসুল করে (প্রস্তাবিত ইজতেমার তারিখ অনুসারে ইজতেমা হোক বা না হোক) আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ শে জানুয়ারী'২০২২ টংগীর টিন শেডে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।
২. ময়দান থেকে ফিরে যাওয়ার পরের সপ্তাহ জেলা/হালকার জোড় করে, এখানকার আজাইম ও তাকাজাসমূহ থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অজুদে আনার চেষ্টা করলে ভাল হয়৷
৩. অল্লাপাকের জাতের উপর ভরসা করে প্রতিটি সবল মসজিদ থেকে ১টি ৩ চিল্লার জামাত, ২টি ১ চিল্লার জামাত ও ১টি বিদেশের জন্য জামাত বের করার চেষ্টা করা, এর চাইতে কমজোড় মসজিদ থেকে ১/২টি শুধু চিল্লার জামাত এবং তার চেয়ে কমজোড় একাধিক মসজিদ মিলে হলেও ১ টি চিল্লার জামাত উক্ত তারিখে টঙ্গীর টিন শেডে আনার চেষ্টা করলে ভাল হয়।
৪. প্রতিটি মসজিদওয়ার জামাতের সাথীরা মসজিদের খুরুজের সম্ভাব্য তালিকা বানিয়ে মেহনত করা। গলি গলি ভাগ করে বা ঘর নির্দিষ্ট করে মেহনত করা যাতে হার ঘরের হার ফরদ নিজ মসজিদের মোকামি কাজে জুড়ে এবং পুরা উম্মতের মধ্যে দোবারা পাকিজা আমল দাওয়াত, তালিম, জিকির ও ইবাদত জিন্দা হয়।
৫. নিজ নিজ জেলায় সকল তবকার মধ্যে মেহনতকে বাড়ানো। প্রয়োজনে খাওয়াস, ছাত্র নওজোয়ান, গোরাবা ও বধির ভাইদের জোড় করে আল্লাহর রাস্তায় বের করার চেষ্টা করা।
৬. মাস্তুরাতের ইজতেমায়ী তালিম ও ঘরগুলোতে বয়ান করে মা-বোনদের ফিকিরমান্দ করা যাতে তারাও নিজ ঘর থেকে পুরুষদের ১চিল্লা/৩ চিল্লার জন্য বের করে ও ঘরের মধ্যে পাকিজা আমল সমূহ (নামাজ, তেলাওয়াত, জিকির ইত্যাদি) জিন্দা করে।
৭. বাস স্টেশন, ট্রেন স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, বস্তি ও হাটবাজার ইত্যাদি গাফলতের এলাকায় মেহনত ও জোড় করে তাদেরকে মসজিদের আমলে জুড়ানোর চেষ্টা করা ও আল্লাহর রাস্তায় বের করার চেষ্ট করা।
![]() |
পুরানোদের জোড় থেকে তাকাজাসমূহ ডিসেম্বর ২০২১ |
৮. পুরানোদের জোড় থেকে যে সমস্ত চিল্লা /৩চিল্লার জামাত আপনাদের এলাকায় যাচ্ছে তাদের নুসরতের এন্তেজাম করে সাথীদের কর্মী ও এলাকার কাম বাতানোর চেষ্টা করা।
৯. জেলা ও থানার কাম করনেওয়ালা পুরানো সাথীরা উপরে উল্লেখিত তাকাজাসমূহ পুরা করার জন্য ৭/১০ দিনের জামাত বানায়ে ইউনিয়ন/গ্রাম পর্যায়ে যেয়ে মেহনত করার চেষ্টা করলে ভাল হয় ।
১০. উল্লেখিত তাকাজাসমূহ পুরা করার জন্য দিনভর খুব আনথক মেহেনত ও শেষ রাত্রে দোয়ার এহতেমাম করলে ভালো হয়।