মাস্তুরাতসহ জামাতের পর্চা বানানো

মাস্তুরাতসহ জামাতের পর্চা বানানো
মাস্তুরাতসহ জামাতের পর্চা বানানো
১) পর্চা বানানোর বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোন সাথী তরতীব অনুযায়ী পর্চা বানাতে পারে তাহলে আশা করা যায় সে জামাত চালাতে পারবে।

২) মাস্তুরাত কে, কখন, কি আমল করবে তার সুষ্ঠু বণ্টন করে দেওয়াই হলো পর্চার মূল উদ্দেশ্য।

৩) মাস্তুরাতের জন্য পর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমীর সাব কাছে না থাকায় পর্চা দেখে দেখে তারা সময়মতো আমল করবে। পর্চা যেন আমীর সাবের বদল ।

৪) পর্চা প্রতিদিন বানাতে হবে। একেকদিন একেক সাথী হাতে লিখবে। ছক বানানো ফটোকপিতে টিক চিহ্ন দিয়ে পর্চা বানানো বড়দের পক্ষ থেকে নিষেধ ।

৫) আমল শুরুর নির্দিষ্ট সময় আগে একেক দিন একেক সাথী ভিতরে পর্চা পৌছাবে এবং বুঝিয়ে দিবে।

৬) মাস্তুরাত বাদ মাগরিব কি বিষয়ে মোজাকারা করবে পর্চার ভিতর তা লিখে দেওয়া।

মাস্তুরাসহ জামাতের পর্চার একটি নমুনা নিচে দেওয়া হলো। দিন ছোট বড় হওয়ার কারণে বা রমযানের কারণে সময় আগে পিছে করে নিতে হবে।

১) এস্তেকবাল

২) খেদমত

৩) ৯.৩০ - ১০.০০ : কুরআনের মশক

৪) ১০:০০ - ১০.১৫ : তালিমের মৌজু

৫) ১০.১৫ – ১০.৪৫ : ফাজায়েলে আমাল

৬) ১০.৪৫ - ১১.১৫: ফাজায়েলে আমাল

৭) ১১.১৫ – ১১.৪৫ : ৬ গুনের আলোচনা

৮) ১১.৪৫- ১২.৪০ : তাশকিল - জামাতের সকল মা বোন

৯) ১২.০০ - ২.৪৫ : ইনফেরাদি আমল (জরুরত, নামায, খানা)

১০) ২.৪৫ - ৩.৩০: ফাজায়েলে ছাদাকাত

১১) ৩.৩০ - ৪.২০: পুরুষদের পক্ষ থেকে বয়ান

১২) ৪.২০ - ৪.৩০ : তাশকিল - জামাতের সকল মা বোন

১৩) ৪-৩০ - ৬.১০: ইনফেরাদি আমল (ইনফেরাদি দাওয়াত, তাছবিহাত, দুয়া)

১৪) ৬-১০-৬.৪৫ : ইনফেরাদি আমল (আওয়াবিন, তেলাওয়াত)

১৫) ৬.৪৫- ৭.৪৫: মোজাকারা

১৬) ৭.৪৫- ১০:০০ : আমল শেষ করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া।

১৭) ৪.৫৫: তাহাজ্জুতের শেষ সময়

১৮) ৫.০০ - ৫.৪৫ : ইনফেরাদি আমল

১৯) ৫.৪৫ - ৬.১৫ : ৬ গুণ শেখা শেখানো

২০) ৬:১৫ - ৭:০০ পুরুষদের পক্ষ থেকে মোজাকারা

২১) ৭.০০ - ৯.৩০ : ইনফেরাদি আমল ও পরবর্তী আমলের তৈয়ারি
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url