জামাতে গিয়ে মেহমানদারী গ্রহণের তরতীব

১) মেহমানদারী গ্রহণ করা সুন্নত। সুন্নত হিসেবে বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে এক বেলা মেহমানদারী গ্রহণ করা যেতে পারে ।

২) মহল্লার কোন সাথী দাওয়াত দিতে আসলে হালতের উপর ঐ সাথীকে কোন না কোন তাশকিল করে এক বেলা দাওয়াত গ্রহণ করা যেতে পারে।

৩) কোন মহল্লা যদি বলে যে, আমাদের এখানে আজ পর্যন্ত কোন জামাত আগুন জালাতে পারে নাই কাজেই আপনারাও পারবেন না । এসকল দাওয়াত গ্রহণ না করাই জরুরি।

৪) বিনয়ের সাথে জামাতকে দাওয়াত দিবে, গ্রহণ করা না করা জামাতের এখতিয়ার।

৫) আমীর সাহেব সব সাথীর সাথে পরামর্শ করে দাওয়াত গ্রহন করবেন।

৬) কোন বেলার দাওয়াত, কখন খানা পৌছাবে, কি খাওয়াবে সব খোলাসা করতে হবে।

৭) জামাতের সাথীরা কি খায়, এবং কি খায়না, দাওয়াত গ্রহণের সময় বলে দেওয়া।

৮) খানা পাকায়ে দিবে না কি বাজার করে দিবে তাও জেনে নেওয়া।

৯) পাকায়ে দিলে সকালের নাস্তা ৮ টার মধ্যে, দুপুরের খানা ১২টা / ১২.৩০ টার মধ্যে, আর রাতের খানা এশার আগে দিতে হবে।

১০) যোহরের আগে খানা খাওয়া সুন্নত, মাস্তুরাতসহ জামাতে দুপুরের আগে খানা খেতে পারলে পরবর্তী আমলের জন্য সহজ হয় ।

১১) বাজার করে দিলে সকালের বাজার রাতে, দুপুরের বাজার সকাল ৯ টার মধ্যে এবং রাতের বাজার আছরের আগে দিতে হবে।

১২) বাড়িওয়ালাকেও জামাতের পক্ষ থেকে ২/১ বেলা মেহমানদারী করার চেষ্টা করা, এটাও সুন্নত।

Next Post Previous Post