মাস্তুরাতসহ জামাত এর সংক্ষিপ্ত মোজাকারা

মাস্তুরাত জামাত এর সংক্ষিপ্ত মোজাকারা
মাস্তুরাতসহ জামাত এর সংক্ষিপ্ত মোজাকারা
১. তরগীবি কথা/আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার গুরুত্ত্বঃ মহিলা সাহাবীদের কোরবানীর ঘটনা বলা।

২. সংক্ষিপ্ত ছয় নাম্বারের মোজাকারা করা।

৩. বারো কামের মোজাকারা করা।

৪. সফরের তরতীব বিস্তারিতভাবে মোজাকারা করা।

৫. যে বাসায় হেদায়েতের কথা হবে ঐ বাসাওয়ালী সময় লাগানেওয়ালী হলে ভালো হয় যাতে কোন ভূল থাকলে সংশোধন হওয়ার সুযোগ থাকে।

৬. হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবাইকে দ্বীনের দায়ী বানিয়েছেন। সবাই দ্বীনের জিম্মাদার।নামাজ পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ কিন্তু তরতীব ভিন্ন। ঠিক তেমনি পুরুষ মহিলা সবাই দ্বীনের মেহনত করবে কিন্তু তরতীব ভিন্ন। মহিলারা তাদের ঘরকে দ্বীনের উপর উঠাবে আর পুরুষেরা সারা দুনিয়ায় দ্বীন জিন্দা করার জন্য মেহনত করবে।

৭.মাস্তুরাতের মেহনতের আসল ময়দান হলো তার ঘর। তারা ঘরে জমে থাকবে। কখনো কখনো বের হতে হয় এজন্য যে ঘরে মেহনত করার যোগ্যতা পয়দা হয়।

৮. মাস্তুরাতের জামাত বেশি বেশি বের হোক এটা আমাদের বড়দের উদ্দেশ্য না। আসল উদ্দেশ্য হলো নামাজ, তালিম, তাসবিহাত, তিলওয়াতের আমলগুলো যেন ঘরে ঘরে চালু হয়ে যায়। এটাই হলো মাস্তুরাতের মেহনতের তরক্কী।

৯. বিশেষ উল্লেখ্য যে তিন জিনিসের উপর লক্ষ করে বের হওয়াঃ

  • নিজের এছলাহের জন্য।
  • নগদ জামাত বের করা।
  • ঐ এলাকার পুরুষ ও মাস্তুরাতের মাকামী কামকে মজবুত করা।
১০. এই কাম করনেওয়ালার সবচেয়ে জরুরী ছিফত হলো তাকওয়া। কারন এই কাম একদিকে যেমন জরুরী তেমনি আবার সূক্ষ। যেমন কারেন্ট জরুরী কিন্তু অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হয়। এটা পুরুষের জামাতের মতো না যে প্যান্ট পড়া তবুও যাক, মসজিদ ভাঙ্গা তবুও জামাত যাক। এই কামের দশটা শর্ত থাকলে দশটাই পুরা করতে হবে।

১১. জামাতে থাকা অবস্থায় এহরাম বাধা অবস্থায় থাকা। এটা কোন হাসি তামাশার জায়গা না বা শখ পুরা করার মেহনত না। এটা শরীয়ত ও সুন্নত জিন্দা করার মেহনত। এজন্য খুব সতর্কতার সাথে একাজ করতে হবে।

১২. মেয়েরা সফরের সময় হাতের নখেরও পর্দা করবে। সফরে চলা অবস্থায় প্রয়োজনে এতো আস্তে কথা বলবে যেন মাস্তুরাতের গলার ঐ আওয়াজ তার স্বামী বা মাহরাম ছাড়া অন্য কোন গায়ের মাহরামের কান পর্যন্ত না পৌঁছে।

১৩. ৬/৮ জন জামাতের সাথীর মধ্যে যেন এমন না হয় আমরা না কোন মাস্তুরাতের আঙ্গুল দেখেছি না কারও গলার শুনেছি। যদি এর ব্যতিক্রম হয় তবে এরকম বের হওয়ার চেয়ে না হওয়াই ভালো ছিলো।


১৪. মাস্তুরাতের জন্য উত্তম মাহরাম হলো তার স্বামী।

১৫.মাস্তুরাত যে গাড়িতে উঠবে তার মাহরামও ঐ গাড়িতেই উঠবে।

১৬. দূরের সফরে বাস থামিয়ে নামাজ পড়তে হলে মাস্তুরাতের সবাইকে নামতে হবে। যাতে কারও ওজর থাকলে কেউ বুঝতে না পারে।

১৭. মঞ্জিলের দোয়ার সময় মাস্তুরাত গাড়িতে বসা থাকলে দোয়ায় শরীক হতেও পারে নাও হতে পারে। মাস্তুরাত ঢোকার আগে বাসা আবার দেখে নেওয়া। গাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে হলেও বাসা দেখা পর্যন্ত মাস্তুরাত গাড়িতে অবস্থান করা মোনাছেব।

১৮. বাসায় কোন পুরুষ আছে কিনা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বোরকা না খোলা।

১৯. বাসায় ঢোকে ঘরওয়ালীর সাথে পরিচয় বিনিময় করা। পরিচয়ের সময় মাস্তুরাতের আসল নাম না বলে আহলিয়া অমুক বা উম্মে অমুক বলা।

২০. অগ্রিম কোন কথা না বলা যাতে বাড়িওয়ালা বা নিজেদের লজ্জা পেতে না হয়।

২০. জামাত ঘরে ঢুকে পর্চা দিতে দেরী হলে বাহিরের মাস্তুরাত আসলে আপোষে কথা বলতে পারে অথবা একজনকে দায়িত্ব দেয়া যেন তালিম শুরু করতে পারে।

২১. যার যার বোরকা, হাত মোজা, পা মোজা হেফাজত করে রাখবে যাতে বাড়িওয়ালা বা আগত মাস্তুরাতের সাথে বদল না হয়।

২২. যে বাসায় জামাত থাকবে নয় বছরের উপরে ঐ বাসায় যেন কোন বাচ্চা না থাকে। বাড়িওয়ালার কোন ছেলে বিদেশ বা মাদ্রাসা থেকে বাড়ি আসলে তাকে বুঝিয়ে মোজাকারা করে মসজিদে থাকার ব্যবস্থা করা।

২৩. যে ঘরে মাস্তুরাতের থাকার ব্যবস্থা করবে ঐ ঘরকে আমরা মসজিদ মনে করবো। নিজের গরজে অন্য কোন ঘরে যাবো না বরং এমন আখলাক দেখাবো যাতে ঘরওয়ালী আমাদের সাথে থাকতে আগ্রহী হয়।

২৪. মাস্তুরাত কখনো অন্য ঘরে খানা খাবে না। তারা যে ঘরে থাকবে ঐ ঘরেই খানা পৌঁছে দিবে।

২৫. মাস্তুরাতরা যে ঘরে থাকবে সামানাগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে ঐ ঘরে ঢেকে রাখবে।

২৬. ঐ বাড়িতে যদি দামী দামী জিনিস থাকে তবে ঐ জিনিস দেখে খারাপ ধারনা না করে বরং এই কথা মনে করা যে আগে আধুনিক ছিল এখন দ্বীনদার হচ্ছে।

২৭. বাসাতো আগে থেকেই দেখে নিবে তারপরও যদি কোন সমস্যা মনে হয় জামাতের মেয়েরা কিছুই বলবেনা বাড়িওয়ালাকে। পুরুষদেরকে বলবে তারাই সামলাবে।

২৮. যে ঘরে জামাত যাবে ঐ ঘরের সদস্য সংখ্যা যদি ১০/১২ জন হয় তাহলে আলাদা রান্না হলেই মুনাসেব। তা না করে যদি একবেলা মেহমানদারী করে বাকি দিন যদি জামাতের সাথে খায় তাহলেতো মুশকিল হয়ে যাবে।

২৯. বাড়িওয়ালার পক্ষ থেকে বড়জোড় একবেলা মেহমানদারী গ্রহন করা যেতে পারে।

৩০. ঘরওয়ালাকে মেহমান বানিয়ে নিজেরা মেজবান হওয়ার দরকার নেই। সবাই মিলে খানা পাকাবে। তবে ঘরওয়ালীকে আমলের সুযোগ করে দিতে হবে। জামাতের সাথীরা থালা মাজা থেকে শুরু করে রান্নার যাবতীয় কাজ করবে। মোটকথা ঘরওয়ালী যেন আমলে জুড়ে। সে যেন আযাদী মনে না করে।

৩১. মহিলারা অপারগ হলে পুরেষেরা খানা পাকাতে পারে। খানা সাধা সিধা হবে তবে ভালো হওয়াতে কোন অসুবিধা নাই।

৩২. বাহিরের মহিলারা খানা খাওয়ার জন্য দুপুরে চলে যাবে। আবার পরবর্তী আমলে জুড়বে। ইচ্ছা করলে খানা নিয়ে আসতে পারে।

৩৩. কোন মহিলা যদি খানা না এনে খানায় শরীক হয়ে যা তবে তাকে না উঠিয়ে খানা খাওয়ানো। এটাই হলো উসূল।

৩৪.খাওয়া এবং নামাজ একসাথে হবে অর্থাৎ একই সময়ে সবাই সেরে নিবে। যদিও মেয়েদের নামাজ জামাতে হবে না তবুও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেরে নিবে সবাই।

৩৫. পুরুষ মহিলার সামানা আলাদা হওয়া মোনাসেব। বিশেষ করে দস্তরখানা, থালা, গ্লাস, প্লেট আলাদা হলে ভালো হয়। এটা হলো উত্তম তরীকা।

৩৬. পারতপক্ষে আমরা ঘরওয়ালার কোন জিনিস ব্যবহার করবো না। কারন কোন জিনিস ভাংলে যেন তার দীল ভেঙ্গে গেলো। ফলে ঐ ঘরে জামাত উঠা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

৩৭. এস্তেকবালের জন্য আগে থেকেই লোক ঠিক করে নেওয়া। যিনি এস্তেকবাল করবেন তিনি দরজায় দাঁড়িয়ে হাসি মুখে এস্তেকবাল করবেন। আনেওয়ালা মা বোনদেরকে মহব্বতের সাথে এস্তেকবাল করে আমলের মধ্যে শরীক করে দিবে।

৩৮. মা বোনেরা যেন বাচ্চা নিয়ে না আসে সেজন্য আগে থেকেই তরগীব দেওয়া। তারপরও যদি বাচ্চা নিয়ে আসে তাহলে (যদি ব্যবস্থা থাকে) পাশের রুমে বসানো। তা না হলে পিছনের দিকে বসানো। আর বাচ্চা সামলানোর জন্য কিছু চকলেট, চিপস, বিস্কুট জামাতের পক্ষ থেকে কিনে রাখা দরকার।

৩৯. যদি কোন মাস্তুরাত বেপর্দায় আসে তবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করা। বরং মহব্ববতের সাথে এস্তেকবাল করে পরে ইনফেরাদীভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো যতটুকু কথা সে নিতে পারে।

৪০. তালিমের আদব, উদ্দেশ্য, লাভ সবদিন বলা জরুরী না, মাঝে মাঝে হতে পারে।

৪১. তালিমের সময় একথা খেয়াল রাখতে হবে যেহেতু মা বোনদের গলার আওয়াজও পর্দা তাই তাদের আওয়াজ বাইরের কোন পুরুষের কানে না যায়। মাস্তুরাতের আওয়াজ ততটুকুই পৌছাবে যতটুকু তাদের হালকা হবে। এজন্য মাস্তুরাত কখনো চেয়ারে বা উচু জায়গায় বা দাঁড়িয়ে তালিম করবে না। ব্রং সমতল জায়গায় বসে তালিম করবে। মজমা বড় হয়ে গেলে পুরুষদের মাশোয়ারা নিতে পারে। প্রয়োজনে পুরুষদের পক্ষ থেকে বয়ান হতে পারে।

৪২. কোন মহিলা অন্য কিতাব নিয়ে আসলে বা পড়তে বললে তর্ক না করে বলবে যে আপনার মাহরাম দিয়ে আমাদের আমীর সাহেবের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

৪৩. মাস্তুরাত এবং পুরুষদের জন্য আমীর একজনই। মাস্তুরাতের মধ্যে আলাদা কোন আমীর থাকবে না। প্রত্যেক সাথীর জন্য আমীর মানা জরুরী।

৪৪. আমীর সাহেবের এজাজত ছাড়া মাস্তুরাতের হাদিয়া আদান প্রদানের কোন অনুমতি নাই। কেউ যদি দাওয়াত দিতে আসে তবে আমীর সাহেবকে জানানো। আমীর সাহেব সাথীদের নিয়ে মাশোয়ারা করবেন।

৪৫. দাওয়াত খাওয়াটা আমাদের উসূল, দাওয়াত না খাওয়াটাও আমাদের উসূল। কেউ যদি বলে আমাদের মহল্লায় আজ পর্যন্ত কোন জামাত খানা পাকায় নাই, কাজেই দাওয়াত নিতে হবে। বড়রা বলেন ঐ দাওয়াত খাবেন না। মহল্লাবাসী সওয়াবের আশায় দাওয়াত পেশ করবে তারপর যেটা ফয়সালা হয়।

৪৬. পুরানা ও বয়স্ক সাথীদের দিয়ে বয়ান করানো। প্রয়োজনে বয়ান দিনে দুই বার হতে পারে।

৪৭. বয়ানের সময় নিজেকে খেতাব করে বয়ান করা। মাস্তুরাতের নসীহত মনে না করা। নিজেকে খেতাব করে যখন বয়ান করবে তখন এর তাছিড় পড়বে।

৪৮. বয়ানে স্পর্শকাতর কথা না বলা। যেমন স্তন, মাসিক, সহবাস, বাসর রাত্রি, জিনা ইত্যাদি। বয়ানে অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কথা না বলা। অতিরিক্ত হাসি কান্নার কথা না বলা। কিছু কথা জোড় দেওয়া এবং কিছু কথা ছেড়ে দেওয়া। পর্দার ব্যাপারে জোড়ালো কোন কথা না বলা।

৪৯. বয়ানে সহীহ কথা বলা। কেননা মাস্তুরাতের মধ্যে গলদ কথা চালু হয়ে গেলে সংশোধনের আর কোন উপায় থাকে না।

৫০. বয়ানের পর আগে তাশকিল পরে দোয়া করা। দোয়া আগে হলে মজমা ভেঙ্গে যায়।

৫১. নাম লেখার সময় বসে নাম লেখাবো । সব সাথীরাই যেন নাম লিখে এজন্য কোশেশ করা।

৫২. বয়ান শেষে পরবর্তী দিনের প্রোগ্রাম জানিয়ে দেওয়া এবং মহিলারা যেনো আরও মহিলাদেরকে সাথে নিয়ে আসে তার তরগীব দেওয়া।

৫৩. তাশকিলের সময় ভিতরের মাস্তুরাতদের সাথে সাথে বাহিরের পুরুষদেরকেও তাশকইল করা। নাম লিখার জন্য আগে থেকে সাথী তায় করে রাখা। তাশকিলে কখনো জোড়াজুড়ি না করা। যারা স্বেচ্ছায় নাম দিবে শুধু তাদের নামই লিখা।

৫৪. তিন ধরনের তাশকিল হবেঃ

  • কে কে মাস্তুরাতসহ সময় লাগাবে। 
  • কে কে মাহরামকে আল্লাহর রাস্তায় পাঠাবে।
  • কে কে ঘরে তালিম শুরু করবে।
৫৫. তাশকিলের কাগজ আছরের আগেই বা পরবর্তী নামজের আগেই মসজিদে নিয়ে আসার চেষ্টা করা। মাস্তুরাত যে নাম দিলো তা গুরুত্ত্ব সহকারে উসুল করার ফিকির করা।

৫৬. নগদ জামাতের জন্য তাশকিল করা। নগদ জামাতের ব্যাপারে পুরুষ মহিলা সবাই মিলে ফিকির করা। মহল্লাবাসীদেরকেও ফিকিরবান করা। উসুলী গাস্থ করা, দোয়া করা।

৫৭. আসলেতো নগদ জামাত বের করার জন্য মহল্লায় গিয়েই জিজ্ঞাসা করা কয়টা রোখ ঠিক করে রেখেছেন। রোখগুলো জিম্মাদার সাথীরা ভালো করে যাচাই করে দেখবেন। মুখ চিনে যেনো ফয়সালা না হয়।

৫৮. মাস্তুরাতসহ জামাত বেশি বেশি বের হউক এটা বড়দের উদ্দেশ্য না, আসল উদ্দেশ্য হলো শরায়েত যেনো পুরা হয়। অর্থাৎ শর্ত যেন শিথিল না হয়। জামাত বের হওয়ার ব্যাপারে দশটা শর্তের মধ্যে যদি একটি বাকি থাকে তবুও জামাত বের হবে না।

৫৯. একদম নতুন সাথী নিয়ে জামাত না বানানো। যদি জিম্মাদার সাথী না পাওয়া যায় তবে এক সপ্তাহ দেরী করা।

৬০. মাস্তুরাতসহ জামাতে পার্ট টাইম সময় লাগানেওয়ালা নেওয়া চলবে না। বাচ্চাদেরকে কখনো সাথে নেওয়া যাবে না।

৬১. বিশেষ তাকাজা থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই আবার সময় লাগাতে পারে। তবে সাবধান একইজন যেন বারবার তাকাজা পুরা না করে। মাস্তুরাতের আসল কাম হলো ঘরে।

৬২.হাত পায়ের মোজা দুজোড়া হলেই ভালো হয়। এমনকি বোরখাও অতিরিক্ত নিতে পারলেও ভালো হয়। নগদ জামাত উঠলে কাজে লাগবে।

৬৩. মৌলানা দাউদ বলেন, ওড়না আড়াই/দেড় গজ হয় এবং নামাজ পড়ার মতো যেন মোটা হয়।

৬৪. আল্লাহর রাস্তায় থাকা অবস্থায় উন্নত মানের পোষাক ও অলংকারাদী ব্যবহার করা থেকে বেচে থাকা।

৬৫. হেদায়েতের কথা বলার সময় পুরোপুরি কথা বলা। পয়তাল্লিশ মিনিট থেকে এক ঘন্টা প্রয়োজনে আরও বেশি হতে পারে। এজন্য তিন থেকে চার জন সাথী উপস্থিত থাকা যাতে কোন কথা ছুটে গেলে ধরে দিতে পারে কারণ প্রতিটি পয়েন্ট খুলে বলা দরকার। মূল কথা হেদায়েতের কথা সাধাসিধা হওয়া চাই।

৬৬. মহিলাদের কার্গোজারি প্রতিদিন নিতে হবে। এমন না যে একজন গেছে আর সবার হালত শুনে আসবে। কার্গোজারির সময় আমার বিবি ছাড়া আর অন্য কারও বিবির হালত জিজ্ঞাসা না করা।

৬৭. মাস্তুরাতের কথা মসজিদে এলান হবে না। মহল্লার পুরুষদেরকে বলা যে, আমাদের মা বোনেরা অমুক ভাইয়ের বাসায় আছে আপনি আপনার আহলিয়াকে নিয়ে আসেন বা আপনার ছেলেকে দিয়ে পাঠিয়ে দেন। আহলিয়াকে একা পাঠিয়ে দিন এরকম না বলা।

৬৮. মৌঃ দাউদ বলেন নিজ নিজ মাস্তুরাতের কার্গোজারি নেওয়ার উত্তম সময় হলো মাগরিবের নামাজের ১০/১৫ মিনিট আগে। দুইজন একসাথে যাবে, একজন ভিতরে আর একজন বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকবে। ভিতরের জন তার আহলিয়াকে বলে দিবে অমুক ভাইয়ের আহলিয়াকে পাঠাও। এজন্য প্রত্যেক মাস্তুরাত তার স্বামীর অথবা মাহরামের সেন্ডেল, কাপড় ভালো করে চিনে রাখা দরকার।

৬৯. দেখা করার সময় খুবই সতর্কতা অবলম্বন করা। জামাতের আঃ করিম ভাইয়ের মতো বাড়িওয়ালার নামও আঃ করিম হতে পারে। এজন্য ভালো করে যাচাই করে ঘরে ঢুকা। কথা বলার সময় রুমের দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়া। হতে পারে কোন মাস্তুরাত এস্তেঞ্জায় গিয়েছিলো ফিরে এসে অমুক আপাকে খুজতে গিয়ে অপর পুরুষের সামনে আসতে পারে।

৭০. হালত শুনার সময় মূল জিজ্ঞাসা হলো পর্চার মতো কাজ কতটুকু হয়েছে। তোমার যে আমলটা তা কতটুকু পুরা করতে পেরেছো। আগামীকাল যেন আরও ভালোভাবে করতে পারো। ঈমান আমলের তরক্কী হচ্ছে কিনা। সর্বশেষ কোন জরুরত আছে কিনা।

৭১. হালত শুনার সময় যেন কোন গীবত চলে না আসে। যেমন অমুকের বিবি কোন আমল করে না শুধু শুয়ে শুয়ে থাকে ইত্যাদি।

৭২. মা বোনের কোন রায় থাকলে মাশোয়ারায় পেশ করা। কিন্তু মাস্তুরাতের নাম প্রকাশ করা যাবে না।

৭৩. এলাকার কোন মাস্তুরাত যেনো মাহরাম ছাড়া রাত্রে না থাকে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাত্রে মোলাকাত না করা।

৭৪. এশার পর আমল শেষ করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়ার তরগীব দেওয়া।

৭৫. পাহাড়ার প্রয়োজন হলে থাকার জায়গা না থাকলে সিড়ির নিচে থেকে হলেও পাহাড়া দিবে।

৭৬. ওয়াপেছি কথা অবশ্যই বলা। এলাকার জিম্মাদার সাথী বা পুরান সাথী না থাকলে জামাতের কোন জিম্মাদার সাথী দিয়ে হলেও ওয়াপেছি কথা বলা।

৭৭. ওয়াক্ত শেষ করে তাড়াতাড়ি এবং সরাসরি বাড়ি যাওয়ার তরগীব দেওয়া।

৭৮. ঘর বদলের দিন বা ওয়াক্ত শেষে সওয়ারীতে উঠার সময় যার যার বিবি তিনিই ডাকবেন। আমীর সাহেব সবাইকে ডাকবেন এমন না। মাস্তুরাতের নাম ধরে না ডাকা।

৭৯. সওয়ারীতে উঠার সময় উত্তম হলো মাস্তুরাতের হাত ধরে উঠানো। কারন বোরকা পরে তো সব কিছু দেখা যায় না। সওয়ারীতে উঠার সময় অন্যান্য সাথী ও গাড়ির ড্রাইভার একটু দূ্রে অবস্থান করাই মোনাছেব।

৮০. নেযামুল আমাল প্রতিদিন বানানো যাতে ফিকির বাড়ে। মাস্তুরাতসহ জামাতের সকাল হতে রাত পর্যন্ত আমল সমূহের তরতীব নিম্ন লিখিত নিয়ম অনুযায়ী মোনাছেব।































Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url