ধৈর্য্য
১. দুনিয়ার অল্প সময়ের জিন্দেগীতে চলতে চলতে কিছু হালত বা অবস্থার সৃষ্টি হয় যা অপ্রত্যাশিত। আর এই হালত আল্লাহতায়ালাই সৃষ্টি করেন মোমিনের মাকামকে বাড়ানোর জন্য। যখন ধৈর্যের মাধ্যমে আমরা এই অবস্থা মোকাবিলা করতে পারবো তখন আল্লাহপাক আমাদের এই মাকামকে বাড়িয়ে দিবেন। কিতাবে আছে যারা সুখে দুঃখে সর্ববস্থায় আল্লাহতায়ালার উপর রাজি থাকবে তারা বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
২. যদি মনের বিরুদ্ধে এরূপ অবস্থা শরীয়তের কোন হুকুমের কারনে হয় তবে অটলভাবে সেই হুকুমের উপর কায়েম থাকবে। আর যদি ঐ অবস্থা কোন দুনিয়াবী কারনে হয় তবুও ঐ বিপদে মনকে অস্থির না করে কারও শেকায়েত না করে নীরবে ধৈর্য ধারন করে থাকতে হবে।
৩. কেউ জানে না খবর তার নাম ছবর।
৪. মা আয়েশা রাযিঃ বলেন বান্দার উপর ইহলৌকিক কষ্ট হলো জ্বর সমতুল্য। হাদীসের মাফহুম হলো আল্লাহপাক মোমিনের কোন কষ্টকে বৃথা যেতে দিবেন না। পায়ে কাটা ফুটলে যদি ধৈর্য ধারন করে আল্লাহপাক তারও বদলা জান্নাতে দিবেন।
৫. মসিবত হলো মোমিনের মর্যাদা বৃদ্ধির সিড়ি। তাই অনেকে মসিবত আসাকে আল্লাহপাকের রেজামন্দির আলামত হিসেবে মনে করে।
৬. নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা ছবরকারীদের সাথে আছেন। আল্লাহতায়ালা যার সাথে থাকেন তার মুছিবত তখন আরামে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
৭. আইয়ুব আঃ এর ঘটনা "আইয়ুব তুমি কেমন আছো?"
৮. এক লোকের কাবাব খাওয়ার ঘটনা।
৯. ঝালমুড়ি খাওয়ার ঘটনা।
১০. সারকথা হলো স্বভাব বিরুদ্ধ ব্যাপারে অস্থির না হওয়া। কথায় ও কাজে অজ্ঞতার প্রকাশ থেকে বেছে থাকা এবং ইহকালেও আল্লাহতায়ালার রহমতের আশা করা এবং পরকালেও উত্তম পুরুষ্কার প্রাপ্তিতে বিশ্বাস রাখা।