দাওয়াতের আদব

  • তরতীব অনুযায়ী যদি কোন কাজ করা হয় তবে তা অল্প হলেও নতীজা খুব ভালো হয়। আর বেতরতীবে বেশী কাজ করা হলেও তার নতীজা ভালো হয়না। বরং ক্ষতিই বয়ে আনে। দাওয়াতের মেহনত হলো নবীওয়ালা মেহনত। কাজেই এই কাম নবীওয়ালা সিফাতেই হওয় দরকার।
  • উম্মত সম্পর্কে নবীদের দীল ছিলো সাফ। নবীরা কোন বিনিময় নেননি। নবীরা কখনো প্রতিশোধ নেননি। নবীরা সবসময় নিজেদেরকে দোষী মনে করতেন। যেমন তায়েফের ঘটনা।
  • দাওয়াতের জন্য প্রথমে নিয়তকে সহীহ করা। আল্লাহকে রাজি করার নিয়তে দাওয়াত দেওয়া। অন্যের হেদায়েতের জন্য না বরং নিজের নিজের হেদায়েতের জন্য দাওয়াত দেওয়া।
  • দাওয়াতের কামের মধ্যে আল্লাহতায়ালার সাহায্য পাওয়ার জন্য এবং শয়তানের আক্রমন থেকে বাচার জন্য বেশি বেশি জিকির করা চাই।
  • দাওয়াতের সময় কর্কশ ভাষা ব্যাবহার না করা। এটা অহংকারের লক্ষ্ণ। তাই খুব নরমভাবে একরামের সাথে দাওয়াত দিতে হবে। যাকে দাওয়াত দিবে তাকে কোন অবস্থাতেই ছোট না জানা বরং কালিমার খাতিরে দীল থেকে বড় মনে করে খুব নরমভাবে হাসিমুখে দাওয়াত দেয়া যেন ঐ ভাই/বোন আমার কথার দ্বারা দীলে কোন প্রকার চোট বা ব্যাথা না পায়। কারন নরমভাবে দাওয়াত দেয়ার জন্য স্বনং আল্লাহতায়ালাই হুকুম করেছেন।
  • আল্লাহতায়ালা মুসা ও হারুন আঃ কে ফেরাউনের নিকট দাওয়াতের জন্য পাঠিয়ে বললেন, তোমরা উভয়ে তাহার সাথে নরমভাবে কথা বলিও। হতে পারে সে উপদেশ মেনে নেবে অথবা আযাবকে ভয় করবে।
  • দাওয়াত দেওয়ার সময় যদি কেউ কোন খারাপ ব্যাবহার করে তার জন্য ছবর করা মন খারাপ না করা বরং আম্বিয়া আঃ গনের দাওয়াত দিতে গিয়ে কষ্ট মোজাহাদার কথা স্মরণ করা। আর দাওয়াত দিতে গিয়ে কোন প্রকার ভয়ও না করা কেননা আমরা দুর্বল হতে পারি কিন্তু যার দাওয়াত দিচ্ছি সেতো দুর্বল নয়। তিনি আমাদের সাথে আছেন।
Next Post Previous Post