জিকির তিলওয়াত

১. প্রকৃতপক্ষে যখন কোন মানুষের দীলের মধ্যে একথা বসে যাবে যে আমি যেখানেই থাকি না কেন আল্লাহতায়ালা আমার সাথে আছেন এবং আমাকে দেখতেছেন তখন ঐ লোকের দ্বারা সে নারী হোক বা পুরুষ হোক কোন গুনাহের কাজ হতেই পারে না। মানুষের দ্বারা গুনাহতো তখন হয় যখন সে গাফেল থাকে। এজন্য আল্লাহতায়ালা তার প্রতিটি বান্দাকে বেশি বেশি জিকির করতে বলেছেন এবং গাফেল থাকতে নিষেধ করেছেন।

২. মানুষ যে আমলটা পাবন্দীর সাথে করে অসুস্থতা বা সফরের কারনে যদি না করতে পারে আল্লাহতায়ালা তবুও তাকে সমান সওয়াব দান করেন।

৩. হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহতায়ালার এরশাদ নকল করে বলেন, তুমি ফজর ও আছর নামাজের পর কিছু সময়ের জন্য আমার জিকিরে মশগুল থাকো আমি মধ্যবর্তী সময়ের জন্য তোমার যাবতীয় প্রয়োজন মিটিয়ে দিবো। 

জিকির
জিকির

৪. তিন তাজবীহ পড়ার সময় কালেমা সওম যখন পড়া হয় তখন অর্থের দিকে লক্ষ্য করে পড়া। দরূদ পড়ার সময় এই উম্মতের জন্য হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার খান্দানের দয়ার কথা ভাবা। এস্তেগফার পড়ার সময় এরকম মনে করা যে, আল্লাহতায়ালার ক্ষমার সাগরে আমার ময়লা দীলকে ধৌত করছি।

৫. এস্তেগফার এবং দরূদ শরীফ বেশি বেশি পড়া। এস্তেগফারের তিনটি বড় বড় লাভ হলো,

  • ধারনার বাইরে রিযিক লাভ।
  • দুঃশ্চিন্তা দূর হয়।
  • সংকীর্ণতায় রাস্তা খুলে দেন।
৬. একবার দরূদ শরীফ পড়লে চল্লিশটি ফায়দা। 

  • দশটি নেকী হয়।
  • দশটি গুনাহ মাফ হয়।
  • দশটি রহমত নাজিল হয়।
  • জান্নাতে দশগুণ মর্যাদা বৃদ্ধি হয়।
৭. হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যাক্তি সর্বশ্রেষ্ঠ যিনি কুরআন শরীফ নিজে শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।

৮. মাওলানা আশরাফ আলি থানভী রহঃ সকল মুসলমান নর নারীর জন্য কুরআন সহীভাবে তেলওয়াত শিক্ষা করাকে ফরজ বলেছেন। উলামা একরাম কুরআন সহীভাবে পাঠ করাকে সকল মুসলমান নর নারীর উপর ওয়াজিব বলেছেন। সকল ইমামগন এ বিষয়ে একমত।

৯. তেলওয়াত দৈনিক নির্দিষ্ট সময়েই করা উচিত তা না হলে বরকত পাওয়া যাবে না। যারা নিয়মিত কুরআন তেলওয়াত করে থাকেন তাদেরকে কখনো অক্ষম বার্ধক্য স্পর্শ করে না।

১০. মাওলানা ইলিয়াস রহঃ এর মা বিবি সফিয়্যাহ খুব উচ্চ স্তরের হাফিজা ছিলেন। প্রতি রমজানে তিনি চল্লিশ ক্ষতম করতেন। এছাড়া দৈনিক আরো অজিফা আদায় করতেন।

১১. ইমাম শাফেয়ী রহঃ প্রতি রমজান মাসে একষট্টি খতম করতেন। এক খতম দিনে, এক খতম রাতে এবং এক খতম তারাবির মধ্যে।

১২. কথিত আছে হযরত উসমান রাঃ এর নিকট অতি মাত্রায় তিলওয়াতের দরূণ দুই জিলদ কুরআন ছিড়ে গিয়েছিলো। ইমাম আবু হানিফার মতে কুরআনের হক বছরে দুই খতম।

১৩. চার নিয়তে কুরআন তিলওয়াত করা চাই,
  • সহীহ করার নিয়তে।
  • খতম করার নিয়তে।
  • অজিফা আদায় করার নিয়তে।
  • মাসনুন সূরা মুখস্ত করার নিয়তে।

Next Post Previous Post