তালিম

তালিম কি?

তালিম অর্থ শিখা, শিখানো। নিজে জানা অন্যকে জানানো। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জামানায় মসজিদে নববীতে (মদীনার মসজিদ) যে সমস্ত আমল চালু ছিলো ঐ সমস্ত আমল সমূহের মধ্যে তালিম ছিলো অন্যতম।

তালিমে বসার আদবঃ

  • অযুর সাথে বসা।
  • সুন্নত তরীকায় বসা।
  • গায়ে গায়ে লাগিয়ে বসা।
  • গোলাকার হয়ে বসা।
  • দীলকে খালি করে বসা।
  • আত্তাহিয়্যাতুর সূরতে বসা।
  • হেদায়েতের মোহতাজ হয়ে বসা।
  • আমি কিছুই জানিনা এই নিয়তে বসা।
  • সম্ভব হলে দুই রাকাত নামাজ পড়ে দয়া করে বসা।
  • খোশবো লাগিয়ে বসতে পারলে উত্তম।
  • মোজাহাদার সাথে বসা অর্থাৎ মনের বিরুদ্ধে হলেও বসা। যেমনঃ গরমের সময় ঠান্ডা জায়গায় বসতে মন চায় ঐ সময় কষ্ট হলেও গরমের মধ্যে বসে তালিম শোনা। ঠিক আবার ঠান্ডা সময়ও একই কথা।

তালিম শোনার আদবঃ

  • দীলের কানে শুনা অর্থাৎ আল্লাহর ধ্যানে শোনা।
  • আজমতের সাথে শোনা অর্থাৎ গুরুত্বের সাথে শোনা।
  • নিজে আমল করার নিয়্যতে শোনা।
  • আখেরী উম্মত হিসেবে অপর ভাইকে দাওয়াত দেওয়ার নিয়তে শোনা।
  • রহতের কথা শুনলে সুবহান্নাল্লাহ বলা।
  • নিয়ামতের কথা শুনলে আলহামদুলিল্লাহ বলা।
  • আজাব গজবের কথা শুনলে নাউযুবিল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ পড়া।
  • আমাদের নবীর নাম আসলে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পড়া।
  • অন্য নবীর নাম আসলে আলাইহিসসালাম পড়া।
  • মৃত পীর বুজুর্গদের নাম আসলে রহমাতুল্লাহি আলাইহি পড়া।
  • জীবীত পীর বুজুর্গদের নাম আসলে দামাত বারাকাতুহুম পড়া।
  • সাহাবা মহিলা হলে রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এবং পুরুষ হলে রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পড়া।

তালিমের উদ্দেশ্যঃ

ফাজায়েলে আমলের বর্ণনা শুনার দ্বারা দীলে আমল করার শখ বা আগ্রহ পয়দা করা।
অথবা, ফাজায়েলে আমলের বর্ণনা শুনার দ্বারা আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের ওয়াদার উপর দীলে একীন পয়দা করা।
অথবা, কিতাবী তালিমের বর্ণনা শুনার দ্বারা আল্লাহপাকের ওয়াদা এবং ওয়াইদের উপর দীলে একীন পয়দা করা।

তালিমের লাভঃ

  • তালিমের দ্বারা অজ্ঞতা মূর্খতা দূর হয়।
  • তালিমের দ্বারা এলেম ও আমলের মধ্যে জোড়মিল পয়দা হয় অর্থাৎ তালিমের দ্বারা এমন ঈমান বাড়ে যে জানা বিষয়ে আমল করা সহজ হয়ে যায়।
  • তালিমের দ্বারা নেক আমলের আগ্রহ বাড়ে।
  • আসমানী এলেমের নূর অন্তরে পয়দা হয়। আসমানী এলেমের নূর মানে কুরআন হাদীসের নূর।

তালিম কিভাবে করতে হয়?

তিন বিষয়ের উপর তালিম করতে হয়।
  • কোরআনী তালিম।
  • কিতাবী তালিম।
  • ছয়টি গুণের মোজাকারা।
Next Post Previous Post