মাশোয়ারার আদব
মাশোয়ারার আদব
মাশোয়ারা কি?
মাশোয়ারা হলো আল্লাহতায়ালার হুকুম, সকল নবীর সুন্নত, মুমিনের সিফাৎ।মাশোয়ারা উদ্দেশ্যঃ
সারা আলমের দ্বীনের তাকাজা সামনে রেখে সাথী ভাইদের রায় নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার কাজের একই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া।কি কি বিষয়ের উপর মাশোয়ারা করবো?
তিনটি বিষয়ের উপর মাশোয়ারা করবো।- কিভাবে এলাকা থেকে নগদ জামাত বের করা যায়।
- নিজে এবং সাথী ভাইয়েরা কিভাবে দ্বীনের দায়ী বনে যাই।
- এলাকায় যদি মসজিদওয়ার পাঁচ কাজ চালু থাকে তবে জোরদার করা আর না থাকলে চালু করা।
মাশোয়ারার লাভঃ
- পরামর্শ করে কাজ করলে খায়ের বরকত হয়।
- পরামর্শ করে কাজ করলে জোড় মিল মহব্বত পয়দা হয়।
- পরামর্শ করে কাজ করলে তোড় খতম হয়।
- পরামর্শ করে কাজ করলে আযাব গজবের ফয়সালা আল্লাহ্তায়ালা উঠিয়ে নেন।
- উত্তম বদলা অতি শীঘ্রই পাওয়া যায়।
- পরামর্শ করে কাজ করলে অহীর বরকত পাওয়া যায়।
মাশোয়ারার আদবঃ
- মাশোয়ারার আগে একজন আমীর ঠিক করা (সুস্থ বিবেকবান বালেগ পুরুষ)।
- ডানদিক থেকে খেয়াল পেশ করা।
- কারও খেয়াল না কাটা।
- দীল থেকে দীনের দিকে মোতাওয়াজ্জা হয়ে খেয়াল পেশ করা।
- আমার খেয়াল অনুযায়ী রায় আসলে খুশি না হওয়া এস্তেগফার পড়া আর আমার খেয়াল অনুযায়ী রায় না আসলে মন খারাপ না করা বরং আলহামদুল্লিাহ পড়া।
- পরমর্শের আগে কোন পরামর্শ না করা আর পরে কোন সমালোচনা না করা।
- আমীর সাহেব যে রায় দেন তা বিনা আপত্তিতে মেনে নেওয়া।
- আমীর সাহেব ইচ্ছা করলে সাথীদের পরামর্শ নিয়েও রায় দিতে পারেন আবার পরামর্শ ছাড়াও রায় দিতে পারেন।
- পুরানো সাথীদের মাশোয়ারায় সামিল করে খেয়াল নেয়া।
- প্রত্যেক সাথীর নিজ নিজ খেয়াল দেয়া অন্যের খেয়ালের উপর যথেষ্ঠ মনে না করা।
- নিজের খেয়ালকে খুব চিন্তা ফিকির করে সামনে উপস্থাপন করা।
- নিজের খেয়ালকে মানবার জন্য পীড়াপিড়ি না করা।
- মাশোয়ারার পরে কোন খারাপী প্রকাশ পেলে কোন সাথীকে দোষারূপ না করা।
মাশোয়ারায় জরুরী জ্ঞাতব্যঃ
- যে মসজিদে মাশোয়ারা ঢিলে ঢালা সে মসজিদে সব কাজ ঢিলে ঢালা।
- যে মাশোয়ারায় কেউ জিম্মাদার বা ফয়সাল হওয়ার জন্য বসে ঐ মাশোয়ারায় আল্লাহপাকের সাহায্যের পরিবর্তে আযাব আসে।
- মাশোয়ারা কোন মাসআ’লা সমাধানের জন্য নয়, মাশোয়ারা হলো দ্বীলের মিল পয়দা করার জন্য। ডাঃ সাহাব উদ্দিন সাব বলেনঃ তাকাজা পুরা হয় আল্লাহপাকের মদদ দ্বারা, আল্লাহপাকের মদদ আসে ইস্তেমাঈতের দ্বারা, আর ইস্তেমাঈত হলো দ্বীলের মিল। আর এই দীলের মিল পয়দা হয় মাশোয়ারার দ্বারা।
"জোড় মিল মহব্বত,
খায়ের ও বরকত,
আসে না ওহী,
আসে ওহীর বরকত।"
"জোড় মিল মহব্বত,
খায়ের ও বরকত,
ক্ষতি থেকে হেফাজত,
জিন্দায় সুন্নত।"