গোসলের বিষয়ে জরুরী মাছায়েল
![]() |
গোসলের বিষয়ে জরুরী মাছায়েল |
গোসলের ফরজ তিনটিঃ
- গড়্গড়াসহ কুলি করা।
- নাকের ভিতর পানি প্রবেশ করানো।
- উত্তমরূপে সমস্ত শরীর পানি দ্বারা ধৌত করা।
চার কারনে গোসল ফরজ হয়ঃ
- (পুরুষ-মহিলা সবার জন্য) মনী অর্থাৎ বীর্য শরীর হতে উত্তেজনার সাথে বের হলে (স্বাভাবিক/অস্বাভাবিক যেভাবেই হোক)। শরীরে উত্তেজনার সাথে মণী বের হতে থাকলে যদি চেপে রাখে এবং উত্তেজনা চলে গেলে মনী বের হয় তবুও গোসল ফরজ হবে।
- স্ত্রী-সহবাসে স্বামী স্ত্রী উভয়েরই গোসলতো ফরজ হয়ই, এমনকি যদি কেহ স্ত্রী সহবাস করতে উদ্যত হয় এবং পূর্ণ সহবাস নাও করে কিন্তু উভয়ের লিংগদ্বয় খাতনার স্থান মিলিত হয়, তখন মনী বের না হওয়া সত্ত্বেও স্বামী স্ত্রী উভয়ের উপর গোসল ফরজ হয়।
- স্ত্রীলোকের হায়েজ (মাসিক ঋতুস্রাব) হলে যখন রক্ত বন্ধ হবে, তখন পাক পবিত্র ও নামাজের জন্য গোসল ফরজ হবে। (শুধু স্ত্রীলোকদের জন্য)
- স্ত্রীলোকের নেফাস হলে অর্থাৎ সন্তান প্রসবের পর যে রক্তস্রাব হয় তা বন্ধ হলে, তখন পাক-পবিত্র ও নামাজের জন্য গোসল ফরজ হবে।
গোসল করার সুন্নত তরীকাঃ
- গোসলের শুরুতে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" বলা।
- পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করছি এ নিয়ত করা।
- উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধোয়া।
- নাপাকীর স্থান/লজ্জাস্থান বাম হাতে তিনবার ধোয়া।
- ডান হাত দিয়ে পানি ঢেলে বাম হাত ধোয়া।
- যথা নিয়মে অযু করা।
- ডলে ডলে চুলের গোড়ায় পানি পৌছানো।
- মাথায় পানি ঢালা
- তারপর ডান কাধে পানি ঢালা।
- তারপর বাম কাধে পানি ঢালা।
- সমস্ত শরীরে পানি পৌছানো।
- এভাবে তিনবার ধোয়া।
- অতঃপর গোসলের স্থান থেকে সরে গিয়ে পাদ্বয় ধোয়া।
- গোসল শেষে শরীর মোছা বা না মোছা উভয়েরই হুকুম আছে।