পাঁচ কাজ: মহল্লার সব ভাইদেরকে জাহান্নাম থেকে বাচানোর মেহনত
পরামর্শঃ
মসজিদওয়ার পাঁচ কাজ অযূদে আনার জন্য মাশোয়ারা করা জরুরী। মাশোয়রার দ্বারা
আল্লাহপাকের রহমত আসে। বেশী বেশী কামাইয়ের রাস্তা হলো মাশোয়ারা।
২.৩০
ঘন্টার মেহনত: মহল্লায় যেন কোন বেনামাযি না থাকে, সবাই যেন আল্লাহতায়ালার
রাস্তায় বের হয়। প্রত্যেক ঘরে প্রত্যেকের কাছে পৌছাতে হবে। প্রত্যেক ঘরে
যেন তালিম শুরু হয়ে যায়। নিজের ফায়দা মনে করে করা।
উমুমী
গাস্থ: উমুমী গাস্থ ইসলাহী আমল। কেহ যদি নিজের ইসলাহ চায় সে যেন উমুমী
গাস্থ করে। উমুমী গাস্থে মুতাকাল্লিম হওয়ার চেষ্টা করা। আমীর হওয়ার চেষ্টা
না করা।
দ্বিতীয়
গাস্থঃ ১. মহল্লার পাঁচ কাজ চালু করার চেষ্টা করা ২. তালিম ও দাওয়াতের
দ্বারা কি হবে ফাজায়েল বলা ৩. কাজ বুঝানোর জন্য ঐ মহল্লায় একদিন ২.৩০
ঘন্টার মেহনত করা।
তালিমঃ বয়ানের চেয়ে তালিমের গুরুত্ব বেশি। বয়ান বান্দার কথা আর তালিম আল্লাহ ও তার রাসূলের কথা। এই কথার উপর একীন পয়দা হয়।
ঘরের
তালিমঃ ঘরের মেয়েদের মধ্যে আল্লাহপাকের আজমত পয়দা হয়। বদ্বীনী হাওয়া
চলছে, এই অবস্থা দূর করার জন্য ঘরের মধ্যে ৬ নম্বরের মোজাকারা করা।
মাসে
৩ দিন: দাওয়াওতের কাজে খুরুজ মোকাদ্দাম। যাতে প্রত্যেক বালেগ পুরুষ
আল্লাহর রাস্তায় বের হয় এজন্য কোশেশ করা। মাওলানা সাঈদ আহমদ খান (রহঃ)
বলেন, হক্বের উপর নিরাশ হওয়া কুফুরী।
পাঁচ কাজের বিষয়
পাঁচ
কাজ হলো যাতা বা চক্কি। যাতা ঘোরার দ্বারা যেমনি গম থেকে আটা তৈরী হয়,
তেমনিভাবে মেহনতের দ্বারা ঈমান এক্বীনের দরজায় পৌছাবে।৩য় হযরতজী (রহঃ) বলেন
ঃ যে পাঁচ কাজ করে সে তো অবশ্যই ওলী, সে যে কত বড় ওলী সেটা আমার জানা নাই,
তবে আমি এতটুকু বলতে পারি মউতের সময় তার কালেমা নসীব হবে।
৩য় হযরতজী (রহঃ) আরও বলেন সারা দুনিয়ার ইনসানিয়াতের হেদায়েত লুকায়িত আছে পাঁচ কাজের মধ্যে। ইহা আমার নজরে আল্লাহপাক দেখাইতেছেন।
যে ব্যক্তি সওয়াবের নিয়তে এই কাজ করতে থাকবে সে বেশী দিন মেহনতে টিকতে পারবে না। এই মেহনত করতে হবে নিজের সংশোধনের জন্য।
আমারা যতটুকু মেহনত করি এটা যদি নবীদের ফিকিরের মত হয়, তবে তাদের সাথে হাশর হবে।