প্রখ্যাত মুবাল্লিগ আব্দুল ওয়াহাব সাহেবের বয়ান থেকে সংগৃহীত আমল
প্রখ্যাত মুবাল্লিগ আব্দুল ওয়াহাব সাহেবের বয়ান থেকে সংগৃহীত আমল
- যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যায় কুরআন শরীফের শেষ তিন সূরা তিন বার তিলওয়াত করবে, আল্লাহতায়ালা তাকে জমিন, আসমান, মানুষ ও জ্বীনের ক্ষতি থেকে হেফাজত করবেন।
- যে ব্যক্তি দৈনিক যোহর নামাজের পর নিম্নোক্ত দরূদ শরীফ একশত বার পড়বে সে কখনো ঋণী হবেনা । গায়েবী খাজানা থেকে আল্লাহপাক তার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন এবং তার অতীতের গুনাহের উপর শাস্তি দেওয়া হবে না।
- যে ব্যক্তি ফজরের পর ইয়া মালিকু, ইয়া কুদ্দুসু এগার বার করে পড়বে আল্লাহতায়ালা তার ছতরের ভিতরের অংশের সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি দিবেন।
- যে ব্যক্তি দৈনিক এগার বার নিম্নোক্ত দরূদ শরীফ পড়বে আল্লাহতায়ালা তাকে মৃত্যুর পূর্বেই দুনিয়াতেই তাকে তার জান্নাতের ঠিকানা দেখিয়ে দিবেন।
"ছল্লাল্লাহু ওয়া আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মদ"
- যে ব্যক্তি দৈনিক চল্লিশ বার দুয়া ইউনুস পড়বে আল্লাহ্তায়ালা সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি দিবেন, যদি মারা যায় তবে শহীদের মর্তবা পাবে আর যদি সুস্থ হয় তবে গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
- কেউ যদি একচল্লিশ বার সূরা কাউসার পড়ে খাদ্য দ্রব্যে ফুক দেয় তার রিজিক কখনো শেষ হবে না।
- যদি সূরা কুরাইশ একচল্লিশ বার পড়ে খাদ্য দ্রব্যে ফুক দেয় তবে ঐ খাদ্য যথেষ্ঠ হয়ে যাবে।
- যে ব্যক্তি দৈনিক একচল্লিশ বার আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার ঈমান ও একীনের দুর্বলতা ক্ষতম করে দিবেন।
- যে ব্যক্তি দৈনিক ফজরের পর নিম্নোক্ত দুয়া একশত বার পাঠ করবে তার রিজিকের অভাব দূর হয়ে যাবে, যাহেরী ও বাতেনীভাবে সে কারও মুখাপেক্ষী হবে না। মুনকার নাকিরের প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহপাকের সাহায্য হবে, তার জন্য জান্নাতের দরজায় করাঘাত করা হবে।
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল মালিকুল হাক্কুল মুবিন"।
- যে ব্যক্তি ফরজ নামজের পর চতুর্থ কালেমা তিনবার করে পড়বে তাকে প্রতি রাকাতের পরিবর্তে এক বছরের ছোয়াব দান করা হবে।
- যে ব্যক্তি এখলাসের সাথে একবার কালিমা তাইয়্যিবা পড়বে তার পিছনের জিন্দেগির সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে, তার চার হাজার নেকী হবে।
- যে ব্যক্তি ফরজ নামজের পর আয়াতুল কুরসী পড়বে তার এবং জান্নাতের মাঝে মৃত্যুই একমাত্র পর্দা থাকবে।
- যে ব্যক্তি বাজারে গিয়ে চতুর্থ কালেমা পড়বে সে দশ লক্ষ নেকী পাবে, দশ লক্ষ গুনাহ মাফ হবে এবং জান্নাতের মধ্যে একটা মহল পাবে।
- যে ব্যাক্তি নিম্নোক্ত দরূদ একবার পড়বে সত্তর হাজার ফেরেশতা এক হাজার দিন পর্যন্ত তার জন্য নেকী লিখতে থাকবে।
"জাজাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদাম মা হুয়া আহলুহু"
- যে ব্যাক্তি সূরা আনআমের প্রথম তিন আয়াত সকাল সন্ধ্যায় পড়বে, (ক) চল্লিশ হাজার ফেরেশতা কেয়ামত পর্যন্ত ইবাদত করবে এবং সে ছওয়াব উক্ত ব্যাক্তির আমলনামায় লেখা হবে। (খ) আল্লাহতায়ালা একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেন, যিনি কুমন্ত্রনা দেয়ার সময় শয়তানের মুখের উপর চাবুক মারে ও শয়তান এবং উক্ত ব্যাক্তির মাঝে পর্দা পড়ে যায়।(গ) কেয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা বলবেন হে বান্দা আমার আরশের ছায়ার নিচে আসো আমি তোমাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবো, হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করাবো, সালসাবিলের পানি দ্বারা তোমাকে গোসল করাবো।
- দৈনিক ফজরের নামাজের পর দশ বার দরূদ শরীফ পড়লে নবী ও ছিদ্দীকীনদের মত রূহ বের করা হবে, সহজে পুলসিরাত পার করে দেয়া হবে, ফেরেশতারা সিজদায় মাথা রেখে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং হাউজে কাউসারের পান পানি করানোর সময় তাকে সাহায্য করা হবে।
- দৈনিক সকালবেলা উনিশ বার বিছমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়লে জাহান্নামের উনিশ প্রকার আজাব এবং উনিশ জন আজাব দেনেওয়ালা ফেরেশতা থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
সূরা ইখলাসের ফজিলত
দৈনিক দুইশত বার অযুর সাথে পড়লে দশটা ফায়দাঃ
- যেমন আল্লাহপাক তার রাগের তিনশত দরজা বন্ধ করে দিবেন, যেমন- দুশমনি, গোস্বা, বিভিন্ন ধরনের ফিৎনা।
- রহমতের তিনশত দরজা খুলে দিবেন।
- রিজিকের তিনশত দরজা খুলে দিবেন।
- মেহনত ছাড়া গায়েব থেকে রিজিক পৌছাবেন।
- আল্লাহতায়ালা নিজের এলেম থেকে এলেম দিবেন, আপন ছবর থেকে ছবর দিবেন, আপন বুঝ থেকে বুঝ দিবেন।
- ছত্রিশ বার কুরআন ক্ষতম করার ছওয়াব দিবেন।
- পঞ্চাশ বৎসরের গুণাহ মাফ করে দিবেন।
- জান্নাতের মধ্যে বিশটি মহলের মালিক বানিয়ে দিবেন যেগুলো ইয়াকুত, মারজান, জমরজদের তৈরি হবে। প্রত্যেক মহলে সত্তর হাজার দরজা হবে।
- দুই হাজার রাকাত নফল পড়ার সওয়াব দিবেন।
- যখন মারা যাবে এক লক্ষ দশ হাজার ফেরেশতা তার জানাজায় শরীক হবেন।